এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই উপজেলা প্রতিনিধি: দেশজুড়ে এখন বিজয় উল্লাস। মহান বিজয় দিবস পালনের অপেক্ষায় বাঙ্গালি জাতি।বহু লড়াই- সংগ্রাম আর রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তারই প্রতিচ্ছবি বাঙ্গাজলির লাল-সবুজের পতাকা। সেই পতাকা পায়ে হেঁটে বিক্রি করছেন হেমায়েত মাতবর (৫৫) ও জসিম আলি(২৬)।
কয়েকদিন ধরেই জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে তাদের।গতকাল তাদের সাথে কথা হয় কালাই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে।
তারা বলেন, ডিসেম্বর মাস আসলেই আর ঘরে বসে থাকতে পারিনা। বিক্রি যাই হোক বাঙ্গালি জাতি হিসেবে পতাকা বিক্রি করা আমার গৌরবের। মানুষের হাতে বাঙ্গালি জাতির গৌরব লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিতে পারলেই যেন তৃপ্তি পাই। তাই ডিসেম্বর মাস এলেই ফরিদপুর জেলা থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করি।এতে দৈনিক যা লাভ হয় তা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সংসার চালায়।হেমায়েত মাতবর ও জসিম আলি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শ্রীবরদি গ্রামের বাসিন্দা।
তারা আরো বলেন,আমরা শুধু লাভের জন্য নয়,দেশ প্রেম থেকেই পতাকা বিক্রয় করি। বিজয়ের মাস আসলেই আমি অন্য কাজ কর্ম ছেড়ে দিয়ে ঢাকা থেকে বিভিন্ন মাপের পতাকা কিনে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেয় জাতীয় পতাকা। তবে বিগত বছরগুলির চেয়ে এখন বেচা বিক্রি একটু কম গেছে। ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৬ ডিসেম্বরে দিন পর্যন্ত বিক্রি করি।
দেখা যায়,অন্য মাসগুলোতে না হলেও বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসের মাসে ফেরি করে পতাকা বিক্রি শুরু হয়। ৮\১০ ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে কাঁধে নিয়ে বিক্রি করছে বিভিন্ন আকারের পতাকা।পতাকা মাথায় ও হাতে বাঁধার ব্যাজ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ফেরি করে ঘুরছে বিক্রেতা। আকার ভেদে ৬ ফুটের একটি পতাকা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা,৫ ফুট ১০০ টাকা,সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ টাকা দরে।
জাতীয় পতাকা কাঁধে বিজয়ের মাসকে স্মরণ করে দিতে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের হাতে লাল-সবুজের পতাকা পৌঁছে দিতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে ফেরিওয়ালা হেমায়েত মাতবর ও জসিম আলি। কালাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটে-বাজার স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করছেন তারা।বিজয় মাস আসলেই দেশের সবজায়গায় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতেও দেখা যাবে বিজয় নিশান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।